ঢাকা: রাজধানীর তুরাগ থানাধীন এলাকায় দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই দুই কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ভর্তি করেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে আসেন তুরাগ থানার কনস্টেবল মুক্তার হোসেন।
মুক্তার হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে কুসুম (ছদ্ম নাম, বয়স ১৪), কলি (ছদ্ম নাম, বয়স ১৭) নামে দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তারা থানায় অভিযোগ করে। কুসুম একটি কাগজের কারখানায় কাজ করে। আর কলি একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করেন।
কুসুম জানায়, হেলাল নামে এক ছেলে বিয়ের কথা বলে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া কলিকে অন্য আরেক ছেলে একটি বাসায় ধর্ষণ করেন। দুজনই গতকাল থানায় অভিযোগ করেন।
মুক্তার হোসেন আরো জানান, কলি তুরাগের কামারপাড়া এবং কুসুম চন্ডালভোগ এলাকায় থাকত। তাদের দুজনকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালে আনা হয়েছে। কলির ধর্ষণকারীকে আটক করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিশু ধর্ষণ
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকার পূর্ব রসুলপুরে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম রহিম আলী। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা কামরাঙ্গীর চর থানায় অভিযোগ করলে শিশুটিকে পরীক্ষার জন্য পুলিশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে ওই শিশুকে ঢামেকের ওসিসিতে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিশুটির খালা লিপি বেগম আনুমানিক ৯ বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ হাসপাতালে পাঠায়।
লিপি বেগম অভিযোগ করেন, বাড়ির পাশের রহিম আলী বৃহস্পতিবার শিশুটিকে ডেকে চাঁন মসজিদ গলির একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোক ছুটে এসে হাতে-নাতে রহিম আলীকে ধরে ফেলে। পরে তাকে ওইদিনই থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এরপর এলাকার মাতব্বররা থানায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলে। শিশুটির পরিবারও প্রথমে এতে রাজি হয়। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত এর কোনো সমাধান না হওয়ায় শনিবার থানায় অভিযোগ করেন লিপি বেগম।
শিশুটির পরিবারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্য জায়গায় থাকেন। এ পরিবারের কোনো খোঁজ খবর রাখেন না। আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। বেশির ভাগ সময় তিনি লিপি বেগম সঙ্গে কাটান বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে কামরাঙ্গীর চর থানার এসআই সাইদ জানান, থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার সত্যতা জানতে ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য ঢামেকের ওসিসিতে নেওয়া হয়েছে শিশুটিকে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মামলা হবে। অভিযুক্ত রহিমকে এরই মধ্যে থানায় আটক রাখা হয়েছে।